১৯৭৮ সালের ২৭ নভেম্বর তারিখে ১ কিলোওয়াট ক্ষমতার মিডিয়াম ওয়েভ ট্রান্সমিটার উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বেতার, রাঙ্গামাটি কেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয়। ১০ কিলোওয়াট প্রেরণ কেন্দ্রের প্রথম সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু হয় ১৬ আগস্ট ১৯৯২ সালে। ১৯৯৮ সালের ১৬ মে সর্বপ্রথম এ কেন্দ্র থেকে নিজস্ব অনুষ্ঠান প্রচার শুরু হয়।
বাংলাদেশ বেতার রাঙামাটি কেন্দ্র বর্তমানে ১০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি মধ্যম তরঙ্গ (১১৬১ কিলোহার্জ বা ২৫৮.৪০ মিটার) ট্রান্সমিটার এবং ৫ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি এফএম (১০৩.২ মেগাহার্জ) ট্রান্সমিটার ব্যবহার করে প্রতিদিন দুটি অধিবেশনে ১১ ঘন্টা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে। এছাড়া নিজস্ব ওয়েবসাইট (www.betar.rangamati.gov.bd) ও Bangladesh Betar এপসের (এন্ড্রয়েড ও আইওএস) মাধ্যমেও অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হচ্ছে। কেন্দ্রে একটি টক স্টুডিও, একটি নিউজ প্রেজেন্টিং স্টুডিও ও একটি মিউজিক/রেকর্ডিং স্টুডিও রয়েছে।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গণশিক্ষা, শিশু ও নারী, ক্রীড়া, গান, নাটকসহ বিভিন্ন বিষয়ে অনুষ্ঠান প্রচারের পাশাপাশি জাতীয় সংবাদ ও নিজস্ব ৫ মিনিটের একটি আঞ্চলিক সংবাদ বাংলায় প্রচারিত হয় এ কেন্দ্র থেকে। উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান-‘গিরিসম্ভার’, লোক-সংস্কৃতি বিষয়ক অনুষ্ঠান-‘ঢোলক’ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অনুষ্ঠান-‘অহংকারে চির জাগ্রত’। স্থানীয় অনুষ্ঠানে উপজাতীয় অনুষ্ঠান ছাড়াও শিক্ষা, তথ্য, স্বাস্থ্য, কৃষি, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, শিশু ও নারী উন্নয়ন, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি, মুক্তিযুদ্ধ, খেলাধুলা ও পরিবেশ বিষয়ে বিভিন্ন আঙ্গিকের অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। এ ছাড়া, প্রতিদিন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়ে থাকে।
রাঙ্গামাটির স্থানীয় সংবাদ সম্প্রচার শুরু হয় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই। বর্তমানে ঢাকা থেকে প্রচারিত জাতীয় সংবাদ বুলেটিনের পাশাপাশি দুপুর ২টা ৫ মিনিটে স্থানীয় সংবাদ বুলেটিন প্রচারিত হচ্ছে। এছাড়া চাকমা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা ও ত্রিপুরা ভাষাতেও সংবাদ বুলেটিন প্রচারিত হয়।
বর্তমানে রাঙামাটি বেতার কেন্দ্র একটি কার্যকর ‘পাবলিক সার্ভিস ব্রডকাস্টিং’ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পাহাড়ি অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস